October 22, 2024, 10:48 am

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো  ঋণখেলাপি তারেক চৌধুরী অপকর্মের শেষ কোথায়।অবৈধ ক্ষমতার দাপটে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার, ৩১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান প্রতি হিংসার শিকার বিএনপি নেতা কবির চৌধুরী  সংবাদ সংগ্রহ করতে হেনস্তার স্বীকার এশিয়ান টিভির স্টাপ রিপোর্টার ফরিদ আহমেদ নয়ন থানায় অভিযোগ

অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র ও ডাক-টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে।

আজ ৯ জুলাই ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে সাহার খাতুনের কবরে ঢাকা-১৮ আসনের এমপি মো. খসরু চৌধুরীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, তুরাগ থানা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম সুরুজ, উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলনসহ ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে স্মরণ করে ঢাকা-১৮ আসনের এমপি মো. খসরু চৌধুরী বলেন, বর্ণাঢ্য এক রাজনৈতিক জীবন ছিলো অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল তার সরব উপস্থিতি। শামিল ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার প্রতিবাদেও।

প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার কৃতিত্বও তার। দায়িত্ব পালন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবেও। আজীবন লালন করেছেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ।

সাহার খাতুনের জন্ম ১৯৪৩ সালের ১লা মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায়। রাজনীতির শুরু স্কুল থেকেই। ১৯৬১ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে। আইন ছাত্রদের মধ্যে একটি নির্বাচনে তিনি ছাত্রলীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে গঠিত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ ভাষনের সময় সশরীরে ছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ভুমিকা রাখেন মহান মুক্তিযুদ্ধে।

আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও রাজনীতিতে আরো বেশী সক্রিয় হন সাহারা খাতুন। আইনজীবীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। বঙ্গবন্ধুর হত্যা পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে সাহারা খাতুনকেও। কিন্তু কখনই বিচ্যুত হননি আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে অনেকটা ছায়ার মতো অনুসরণ করেন দলীয় প্রধানকে। আইনী লড়াই চালান মুক্তির আগ পর্যন্ত।

২০০৮ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাহারা খাতুন। দায়িত্ব পালন করেন দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাহারা খাতুন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন